নথিভুক্ত সংস্থা নয় বলে আরএসএসকে নিষিদ্ধ করা উচিত ৷ সম্প্রতি এমনই দাবি করেছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ৷ এবার তাঁর নিজের রাজ্যে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এ প্রসঙ্গে কারও নাম না করে তোপ দাগলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভগবত ৷
তাঁর প্রশ্ন, আরএসএস তৈরি হয়েছিল ব্রিটিশ আমলে ৷ তাহলে সঙ্ঘ পরিবারের কি ব্রিটিশ সরকারের আইন মেনে সংস্থা নথিভুক্ত করানো উচিত ছিল ? হিন্দু ধর্মেরও রেজিস্ট্রেশন নেই বলে এদিন সমালোচকদের কটাক্ষ করেন ভগবত ৷ পাশাপাশি তাঁর মতে, আরএসএস বহু ব্যক্তিকে নিয়ে গড়ে ওঠা একটি সংগঠন ৷
কর্ণাটকে এসে আরএসএস প্রধানের এই ধরনের মন্তব্য করার বিশেষ তাৎপর্যও আছে ৷ সম্প্রতি রাজ্যের কংগ্রেস সরকার আরএসএসের কাজকর্মের উপরে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে ৷ তা নিয়ে পরে মামলাও দায়ের হয়েছে ৷ এদিন এখানেই আরএসএস আয়োজিত অনষ্ঠানে অংশ নিয়ে দর্শকদের প্রশ্নের উত্তর দেন ভগবত ৷
এদিন তিনি জানান, আরএসএসের কাছে কোনও রাজনৈতিক দল বন্ধু বা শত্রু নয় ৷ তারা কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করে না ৷ নির্বাচনী রাজনীতিতে অংশও নেয় না ৷ কোনও একটি বিশেষ রাজনৈতিক দল তাদের প্রিয় নয় ৷ সমস্ত রাজনৈতিক দলই ভারতের বলে সবাই আরএসএসের কাছের ৷ আরএসএস কোনও নেতাকে আলাদা করে পছন্দ বা অপছন্দ করে না ৷ শুধু ইস্যুকে সমর্থন করে ৷ এই প্রসঙ্গে অযোধ্যার রাম মন্দির নির্মাণের কথা বলেন তিনি ৷ তাঁর কথায়, “আরএসএস চেয়েছিল মন্দির হোক ৷ বিজেপি এই ইস্যুকে সমর্থন করেছিল বলে আমরাও ওদের সমর্থন করেছিলাম ৷ কংগ্রেস সমর্থন করলে ওদেরও পাশে থাকতাম ৷”
এর পাশাপাশি এদিনের অনুষ্ঠান থেকে পাকিস্তানকেও কড়া আক্রমণ করেন তিনি ৷ তিনি বলেন, “ভারতের ক্ষতি না করতে পারলে পাকিস্তানের শান্তি হয় না ৷ কিন্তু ভারত শান্তির পক্ষে ৷ আমরা শান্তি বজায় রাখতে চাই ৷ শান্তি বিঘ্নিত হতে পারে এমন কোনও কিছু আমরা করি না ৷ তবে পাকিস্তান উত্তেজনা ছাডালে কখনওই তারা ছাড় পাবে না ৷”
সম্প্রতি কংগ্রেস-শাসিত রাজ্য কর্ণাটকে আরএসএস কাজকর্মে নজর রাখতে নিয়ম প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার ৷ সরকারি জায়গাগুলিতে আরএসএস কোনও অনুষ্ঠানের আয়োজন বা রাস্তায় মিছিল বের করা- এই সবকিছু নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ করছেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া ৷ এরপর আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে সঙ্ঘ পরিবার ৷ কর্ণাটক হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ হয়ে ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি চলছে ৷





Leave a Comment